দশক-ভিত্তিক
বাংলা সিনেমা

সময়ের সরণিতে বাংলা চলচ্চিত্রের যাত্রা।

দেখতে দেখতে বাংলা সিনেমা পেরিয়ে গেল ১০০ বসন্ত। বাংলা সিনেমার পথচলা শুরু পথিকৃৎ হীরালাল সেনের হাত ধরে। এর কিছুকাল পরেই ১৯১৭ সালের ২৪ মার্চ জামশেদজী ফ্রামজী ম্যাডানের উদ্যোগে সর্বসাধারণের জন্য কলকাতার ময়দান-তাঁবুতে ‘সত্যবাদী রাজা হরিশ্চন্দ্র’ বায়োস্কোপ প্রদর্শিত হল। এরপরের ইতিহাস শতবর্ষব্যাপী ও বর্ণময়। যদিও বাস্তব সত্য এই যে, যথাযথ সংরক্ষণের অভাবে বাংলা সিনেমার অনেক স্মৃতি অবলুপ্ত, তবু আজও মিলতে পারে অমূল্যরতন। তাই আবেদন সকল বাংলা সিনেমা অনুরাগীদের প্রতি — আসুন, আমরা একসঙ্গে সংরক্ষিত করি শতাব্দীপ্রাচীন বাংলা সিনেমার এই ঐতিহ্যকে।

অডিও-ভিজ্যুয়াল

ভিডিও
ট্রেলার
গান
মৌখিক ইতিহাস
Project

প্রকল্প

বিগত একশো বছরে নানা সীমাবদ্ধতা ও প্রতিকূলতার মধ্যেও তৈরি হয়েছে অসংখ্য উজ্জ্বল মুহূর্ত। গর্বিত হয়েছে বাংলা, সম্মানিত হয়েছে ভারতীয় সিনেমা। সেই উজ্জ্বল ইতিহাসের শতবর্ষ উদযাপন শুরু হল ২০১৮ সালে, কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে।

একশো বছরের যাত্রাপথে তৈরি হওয়া ইতিহাসের কিছু মুহূর্ত নিয়ে গগনেন্দ্র প্রদর্শশালায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘চালচিত্র’ প্রদর্শনী, ১১-১৭ নভেম্বর, ২০১৮।

বাংলা সিনেমার এই শতবর্ষ উদযাপনে আড্ডার মেজাজে সিনেমার অতীত ও বর্তমান হাত ধরলো ‘শতবর্ষের আড্ডা’তে, যা অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালে, কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব চলাকালীন।

বাংলা সিনেমা অনন্য তার গানের মধ্যেও। সেখানে যেমন আছেন অসাধারণ সব সংগীত পরিচালক, তেমনই আছেন প্রতিভাধর গায়ক-গায়িকা। বাংলা সিনেমার শতবর্ষের গান নিয়ে আগামীতে অনুষ্ঠিত হবে এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান ‘জলসাঘর’।

চলচ্চিত্রপ্রেমী ও চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত বহু মানুষের স্মৃতিচারণ ও মূল্যায়নে সমৃদ্ধ এক গ্রন্থ (‘কফিটেবল্‌ বুক’) প্রকাশের প্রতীক্ষায়।

বাংলা সিনেমার বিশিষ্ট চলচ্চিত্রব্যক্তিত্বরা ক্যামেরার সামনে উজাড় করে দিচ্ছেন তাদের স্মৃতি আর অভিজ্ঞতার ঝুলি। এক অন্য ধারায় সংরক্ষিত হচ্ছে বাংলা সিনেমার মৌখিক ইতিহাস। পাশাপাশি, সংগৃহীত ও সংরক্ষিত হচ্ছে নানা তথ্য, পুস্তিকা, ছবি ইত্যাদি।

আপামর বাঙালির কাছে এক গর্বের বিষয় এই শতবর্ষ উদযাপন।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ঐকান্তিক উদ্যোগে, ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে চলেছে এই প্রকল্পের কাজ।